বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১২

এসে গেল !!বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন শরীফ” শিক্ষা

  (১ম খন্ড)  যারা কুরআন শরীফ পড়তে জানেন না বা অল্প জানেন এই টিউনটি তাদের জন্যে। কুরআন শরীফ এখন আপনার জন্যে আরও সহজ ভাবে শিখতে চালু হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
এটাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলার কারন: ক্বারী মাওলানা রমজান আলী সহ বড় বড় আলেমদের সহযোগিতায় তিনি এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্যগটি তাহার নিজের। আর শিখানোর জন্যে আলাদা প্রশিক্ষক শিক্ষক আছে। যাহার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাহার কাছ থেকে।
বিশেষ কারন: সর্বজন শ্রদ্বেয় আলীম এ দ্বীন বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম খতীব,প্রাপ্তণ হযরত মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেব তিনি এ পদ্ধতি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং বলেন, " এ পদ্ধতি সর্ম্পকে আমার কোন ধারনা ছিল না, এখন দেখে বুঝতে পারলাম, ক্বারী মাওলানা রমজান আলীকে আল্লাহ্ পাক কুরআন শিক্ষা দেবার হিকমত দান করেছেন। "
আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।
আজকে প্রথম পর্বে বিপদজনক মাখরাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল ।
আরবে বর্ণমালা গুলো কিভাবে উচ্চারিত হয় ত নিম্নে দেয়া হল :
ا ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن ه و أ ي
১। হলকের শুরু হইতে শক্ত ভাবে আদায় হবে হামজা أ
২। ث(ছা) জিহ্বার আগার কিনারা সামনের নিচের দাঁতের কিনারা হতে নরম ভাবে আদায় হবে।
৩। [অন্যান্য অক্ষর গুলো নরমাল ভাবে আদায় হবে।]
৪। ح(লম্বা হা) হলকের মাঝখান হতে গলায় শোঁ শোঁ শব্দ হবে।
৫। ج(জীম্) জিহ্বার মাঝখান(উপরের তালু ) থেকে শক্ত ভাবে আদায় হবে।
৬। ذ(যাল্) জিহ্বার আগা(সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা) থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
৭। ز(জা/যা্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের আগা থেকে শিষসহ পাতলাভাবে আদায় হবে।
৮। س(সীন্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ পাতলা ভাবে আদায় হবে।
৯। ص(ছ্বদ্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ মোটা ভাবে আদায় হবে।
১০। ض(দ্বদ্) সামনের দাঁতের সাথে জিহ্বার আগা না লাগিয়ে , জিহ্বার গোড়ার বাম কিনারার উপরের মাড়ি দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১১। ط(ত্ব) জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১২। ظ(জ্ব) জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৩। ع(আঈন) হলকের মধ্য থেকে গলায় চিপে আদায় হবে।
১৪। ق(ক্বফ্) জিহ্বার গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৫। و(ওয়াও) দুই ঠোঁটের মাঝখানের ফাঁক থেকে আদায় হবে।
১৬। ي(ইয়া) জিহ্বার মাঝখান থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
১৭। أ(হামজাহ্) হলকের শুরু হতে শক্ত ভাবে আদায় হবে।
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
> এবং আরও অনেকে।
 ------------------------------------------------------------------------------------------------
 (২য় খন্ড)  আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি,বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ২য় খন্ড(হরকত,তানবীন,সুকূন,তাশদীদ্ এর ব্যবহার)।
[আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।]
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:
**হারকত্:যের,যবর,পেশ কে হারকত্ বলা হয়। হারকতের উচ্চারণ তাড়াতাড়ি করতে হয়।
**তানভীন: দুই যবর, দুই পেশ, দুই যের কে তানভীন বলা হয়। তানভীনের ভিতরে ,নূন সাকিন লুকায়িত থাকে।
**সুকূন: এটাকে জ্বজমও বলা হয়। যেমন-لُ
**তাশদীদ: এটিতে অতিরিক্ত একটি হারকত থাকে। যেমন-أنَّ
বি:দ্র: 'আলিফ' এর সাথে হারকত,তানভীন,সুকূন থাকলে আলিফ তখন 'হামজাহ' হয়।
## ইস্তিয়লা ৭ হরফ ...
ইস্তিয়লাঃ ص ض ط ظ ق غ خ সব সময় মোটা হবে এসব হরফ। যেমন ط যবর 'তা' না হয়ে , হবে 'ত্ব' ।
ق যবর 'ক্বা' না হয়ে হবে 'ক্ব' ।
ص যবর 'সা' না হয়ে হবে 'ছ্ব' ।
خ যবর 'খা' না হয়ে হবে 'খ' ।
ظ যবর 'জ্বা' না হয়ে হবে 'জ্ব'।
غ যবর 'গা' না হয়ে হবে 'গ'।
বি:দ্র: 'র' এর উপর যবর/পেশ থাকলে 'র' হরফ মোটা। যেমন- 'র' যবর 'রা' না হয়ে হবে 'র'।
## ছ্বফীরহঃ ছ্বফীরহ ৩টি হরফ নাম তার ص س ز । এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হবার সময় শিষ আসবে। যেমন :
ز সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
ص সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
س সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
## ক্বলক্বলাহ্ঃ ক্বলক্বলাহর ৫টি হরফ নাম তার ب ط ق د ج । এসব অক্ষরে সুকূন বা যজম ٨ থাকলে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়। যেমন :
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ب সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আব্"।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ج সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আজ্"।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ط সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আত্"।
(প্রতিধ্বনি সূষ্টি করে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়){এভাবে অন্যান্য গুলো পড়তে হবে}
## ওয়াজিব গুন্নাহ্ : ওয়াজিব গুন্নাহ্ ২টি হরফ, নাম তার م ن এবং এদের উপর তাশদীদ থাকলে গুন্নাহ্ করা ওয়াজিব । গুন্নাহ্ এক আলিফ টানতে হয় । যেমন :
أ হামজাহ্ যবর 'আ' 'আ' লাগবে م তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ'ম্মা ।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' 'আ' লাগবে ن তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ'ন্না । যেমন: أنَّ
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------

(৩য় খন্ড) দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ৩য় খন্ড (মাদের ব্যবহার)।

কুরআন শরীফ শিক্ষার জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাদের ব্যবহার না জানলে সহীভাবে কুরআন পড়া অসম্ভব।
আপনি কি জানেন !! কুরআন শরীফ সেই গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই ? এই কুরআনের কারনে...
** হযরত মুহাম্মাদ(স) কে শ্রেষ্ঠ নবীর উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** হযরত জীবরাঈল(আ) কে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতার উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** রমজান মাসকে শ্রেষ্ঠ মাস বলা হয়েছে, যেহেতু এই মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে।
** শবে ক্বদরের রাত্র কে শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয়েছে,শুধু এই কুরআনের কারনে।
** যারা কুরআন শিখে এবং শিক্ষা দেয়, তাদের কে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়েছে।
** এছাড়াও আরও অনেক ফযিলত আছে।
যাই হোক মূল কথায় আসি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:(এখানে রাহিম/রাহমানির এগুলা পড়া যাবে না, যেহেতু "র" হরফ মোটা)
### মাদে আছ্বলী(১ম খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :
**যেরের বামে ইয়া সাকিন,নইলে যেরটা খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যের থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** পেশের বামে ইয়া সাকিন,নইলে পেশটা উল্টা হয়, এই দুই ধরণের পেশ থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** যবরের বামে খালি আলিফ, নইলে যবর খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যবর থাকলে ,এক আলিফ টানতে হয়।
সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।
### মাদে আছ্বলী(২য় খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :
نوحيها নু(এক আলিফ টান)হি্(এক আলিফ টান)হা(এক আলিফ টান) কারন নুনের উপর পেশ আর ওয়াও এর উপর সাকিন, আবার হা্ এর নিচে যের আর ইয়া এর উপর সাকিন, আবার হা এর উপর যবর আর যবর এর বামে খালি আলিফ, তাই টান হবে। সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।
### মাদে মুংফাছ্বিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি লম্বা হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে তিন আলিফ মাদে মুংফাছ্বিল। অর্থাৎ তিন আলিফ টানতে হবে। যেমন :
يَا أ
لَا أ [এখানে ي এর উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ (মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে লম্বা হামজাহ্, তাই ইয়া তিন আলিফ টানতে হবে।]
### মাদে মুত্তাছিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি গোল হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে চারআলিফ মাদে মুত্তাছিল । অর্থাৎ চার আলিফ টানতে হবে। যেমন :
جَاءَ [এখানে ج উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ(মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে গোল হামজাহ্ ,তাই জা চার আলিফ টানতে হবে।]
### মাদে আরদ্বী: মাদে আছ্বলীর বামে যদি আরদ্বী সাকিন্ হয়, তবে তিন আলিফ মাদে আরদ্বী। দম ফেলিলে ৩ আলিফ ,নইলে ১ আলিফ টানতে হবে। যেমন : حِيم
বি দ্র: ح এর নিচে যের এবং ي এর উপর সাকিন্ আছে , তাই م কে আরদ্বী সাকিন্ ধরে পড়তে হবে।
### মাদে লীনঃ হারফে লীন দুইটি । যথা: 'ইয়া' সাকিন ডাইনে যবর , 'ওয়াও' সাকিন ডাইনে যবর।
যের ,যবর, পেশ আর ২যবর, ২পেশ, পাইলে দম ফেলিবার সময়, সেথায় , আরদ্বী সাকিন হইবে। (আরদ্বী সাকিন মনে মনে ধরা সাকিন)
যথাঃ বাঈত ب > بيت এর যবর, ي এর উপর সাকিন, ت এর নিচে যের >
বি:দ্র: হারফে লীনের বামে , যদি আরদ্বী সাকিন হয় তাকে দুই আলিফ মাদে লীন কয়।
### মাদে বাদলঃ মাদে আছ্বলী যদি কখনো, হামজার সাথে পাওয়া যায় ,তার নাম মাদে বাদল, ১ আলিফ টানতে হয়।
যেমন: إِيلَافِهِمْ
### মাদে ছ্বিফাতে শাদীদাহ্ঃ হামজাহ্ ছিফাতে শাদীদাহ্, আওয়াজ শক্তভাবে বন্ধ করে শাদীদাহ্।
যেমন: يَأْكُلُ (ইয়া্কুলু)
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

3 মন্তব্য(গুলি):

Shakil Ahamed বলেছেন...

এই বইটি দরকার। কিভাবে পেতে পারি?

Shams Hasan বলেছেন...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
Shams Hasan বলেছেন...

বইটি পেতে চাইলে এখানে দেখুন Click here

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন