শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২
কুরআনের বাণী
কতিপয় হাদিস
হযরত কা'ব ইবন ইয়াদ (রা) থেকে বর্নিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : প্রত্যেক জাতির জন্য একটি ফিতনা (পরীক্ষার বস্তু) আছে । আর আমার উন্মতের ফিতনা হলো সম্পদ (তিরমিজী)
হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)থেকে বর্নিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাটাইয়ের (মাদুর) ওপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা তার মুবারক শরীরে চাটাইয়ের দাগ দেখে বললাম, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ ! আমরা যদি আপনার জন্য একটি তোষক বানিয়ে দিতাম ! তিনি বললেন : দুনিয়ার সাথে আমার কি সম্পর্ক? আমি তো দুনিয়াতে এরুপ একজন মুসাফির, যে গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেওয়া, অতঃপর তা ছেড়ে দিয়ে চলতে শুরু করে (তিরমিজী)
প্রয়োজনীয় আরও ৪০ হাদিস
০১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে পর্যন্ত কোন ব্যক্তির অন্তরে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানব সমাজ হতে আমি অধিকতর প্রিয় না হই সে পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পূর্ন ঈমানদার হইতে পারবে না।
০২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন – যে ব্যক্তি অন্য জাতিকে অনুসরন করে সে তাদেরই দলভুক্ত।
০৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুসলমানকে নিন্দা করা কবিরা গুনাহ।
০৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দিবার জন্য খাদ্যসহ যাবতীয় জিনিসপত্র বেশী দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুদামজাত করিয়া রাখে আল্লাহ তায়ালা তাকে কষ্ট, রোগ ও দারিদ্রতার রোগে আক্রান্ত করিবেন।
০৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার ৪০টি হাদিস আমার উম্মৎকে পৌঁছাইয়া দিবে কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য খাছভাবে সুপারিশ করিব।
০৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আযান ও ইকামতের সময় যে দোয়া চাওয়া হয় তা রদ হয় না।
০৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে জামাতের সহিত ঈশার নামায আদায় করে তাকে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়। আর যদি সে ফজরের নামাযও জামাতের সহিত আদায় করল তাকে বাকি অর্ধেক রাত্রি ইবাদাতের সওয়াব দেওয়া হয়।
০৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মাগরিবের নামাযের পর যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামায মন্দ কথা না বলে পড়ে তাহাকে ১২ বৎসর ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হয়।
০৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তিকে দ্বীনের কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে গোপন করে কেয়ামতের দিন তাহাকে আগুনের লাগাম পরান হইবে।
১০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যার বুকে কোরআনের কিছুই নাই সে যেন ধ্বংশ হওয়া ঘরের ন্যায়।
১১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কোরআন পড়িয়া ভুলিয়া যায় কেয়ামতের দিন সে আল্লাহর সহিত কান ও নাক কাটা অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে।
১২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- বসিয়া থাকার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল কেবলামুখী হইয়া বসা।
১৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- মুমিনকে চিনিবার উপায় এই যে, সে হবে দাতা ও সাদা সিধা দরনের লোক।
১৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- এক ঘন্টা আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
১৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যখন কোন বান্দা সেজদাতে থাকে তখন সে আল্লাহর অতি নিকটে থাকে। সুতরাং বেশী করিয়া দোয় চাও।
১৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে মদ পান করেন আল্লাহ তায়ালা তাহার ৪০ দিনের নামায কবুল করেন না।
১৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার দুই বিবি অথচ উভয়ের সাথে ন্যায় বিচার করে নাই কেয়ামতের দিন তাহার বাহু বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে।
১৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- গরীব লোক ধনবান লোকদের চাইতে ৫০০ বৎসর আগে বেহেস্তে যাইবে আর ৫০০ বৎসর কেয়ামতের অর্ধ দিবসের সমান।
১৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পিতা মাতার নিকট হতে ফিরিয়া যাইওয়া। যে পিতা মাতার নিকট হইতে ফিরিয়া যায় সে কাফেরে গন্য।
২০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তিনটি বিষয়ের জন্য আরববাসীকে ভালবাস। কেননা আমি আরববাসী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা আরবী।
২১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি গরীব ও বিধবার সাহায্যে দৌড়ায় সে ঐ ব্যক্তির ন্যয় যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য দৌড়ায়।
২২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে কেহ জুমুআর দিন ১ হাজার বার দুরুদ শরীফ পাঠ করিবে সে মৃত্যুর পূর্বে তাহার বাসস্থান বেহেস্ত দেখিয়া লইবে।
২৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- তোমরা কবর যিয়ারত করিও কারন ইহা মানুষকে মৃত্যু স্মরন করাইয়া দেয়।
২৪। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করিবেন কিন্তু যে সকল লোক বাহাদুরীর সহিত প্রকাশ্যে পাপ করে তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন না।
২৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি পিতা মাতা বা কোন একজনের কবর সপ্তাহে একবার জিয়ারত করে তাহার গুনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয় এবং বাধ্য সন্তান বলিয়া তাহার নাম লিখা হয়।
২৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- পেশাব সম্পর্কে খুব সতর্কতা অবলম্বন কর। কেন না অধিকতর কবরেরর আযাব ইহার জন্যই হইবে।
২৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরুদ পড়া ভুলে গিয়েছে সে বেহেস্তের পথ ভুলিয়া গিয়াছে।
২৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহারা স্ত্রী লোকদের পর্দায় রাখেনা বা পর্দায় রাখতে শাসন করে না এবং তাহাদিগকে কোন কুকার্য করিতে দেখিলেও মানা করেনা তাহারাই দাইউছ। দাইউছ বেহেস্তের সুগন্ধি কিছুই পাইবে না। তাহাকে ৫০০ বৎসর দূর হইতে দোযখে ফেলিয়া দিবে। তাহাদের জন্য বেহেস্ত হারাম।
২৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহার অন্তরের মধ্যে সরিষা পরিমান অহংকার থাকিবে সে বেহেস্তে যাইবে না।
৩০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যেরুপ পানি দ্বারা শস্য উৎপাদন হয় সেরুপ গান বাজনা দ্বারা মানুষের মনে মোনাফেকী ও কপটতার বীজ অংকুরীত হয়।
৩১। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে উত্তমরুপে অযু করে তাহার সমস্ত গুনাহ শরীরর হইতে বাহির হইয়া যায়। এমননি নখর হইতেও বাহির হইয়া যায়।
৩২। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আল্লাহর তায়ালার নিকট জামায়াতের নামায খুবই পছন্দনীয়।
৩৩। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি এলেমের একটি অধ্যায় এই নিয়তে শিক্ষা করিল যে, তদ্বারা লোকদিগকে শিক্ষা দিবে তাহাকে ৭০ জন শহিদের নেক দান করা হইবে।
৩৪। যে ব্যক্তি দ্বীনের এলেম দুনিয়া কামাইর উদ্দেশ্যে হাসিল করে কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি জান্নাতের গন্ধ ও পাইবে না।
৩৫। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- আলেকদের মুখ দর্শন করাও নেকের কাজ।
৩৬। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে গৃহে আল্লাহর যিকির হয় আকাশ হইতে ফেরেস্তারা তাকে এতই উজ্জল দেখেন, আমরা দুনিয়াবাসীরা আকাশের তারকারাশি যেমন উজ্জল দেখি।
৩৭। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যাহাদের চেহারা দেখিলেই আল্লাহর কথা স্মরন হয় তাহারই আল্লাহর ওলী।
৩৮। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- যে আল্লাহর নিকট কিছু চায়না আল্লাহ তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
৩৯। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- দেহের জন্য যেরুপ মস্তক, দীনের জন্য সেরুপ নামায।
৪০। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- হারামের গন্ধ নাই এমন হালাল বস্তু যে ৪০ দিন খায় আল্লাহ তাহার দিলকে দীনের নূরে নূরানী করিয়া দেন এবং তাহার দিলে হেকমতের (জ্ঞানের) ঝর্না যারী করিয়া দেন।
আসুন আমরা যতটুকু পারি আমল করার চেষ্টা করি।
ফাতেমা (র:) এর বিভিন্ন দোয়াঃ
২) আমার নফ্স্কে দুর্বল করে দাও আর নফসের ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের শক্তি বৃদ্ধি করে দাও!
৩) যে তার একনিষ্ঠ ইবাদাতগুলোকে আল্লাহর প্রতি প্রেরণ করে, মহান আল্লাহ সবোর্ত্তম কল্যাণগুলোকে তার প্রতি অনুগ্রহ করেন।
৪) মুমিনের জন্যে প্রফুল্লতার পুরস্কার হলো বেহেশ্ত।
৫) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলিম উম্মাহর সামাজিক শৃঙ্খলা বিধানের জন্যে আহলে বাইতের অনুসৃতি আর ঐক্য এবং বিচ্ছিন্নতা থেকে নিরাপদ থাকার জন্যে রাহবারি এবং ইমামতের বিধান দিয়েছেন।
৬) গাদিরে খোমের পর আল্লাহ আর কারো জন্যেই কোনোরকম বাহানা বা ওজর- আপত্তির সুযোগ রাখেন নি।
৭) আলী হলেন একজন রাব্বানী ও ঐশী ইমাম,নূরানী অবয়বের অধিকারী, সকল খোদাপ্রেমিক আরেফের দৃষ্টি ও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু, পবিত্র খান্দানের সন্তান, সত এবং যথার্থ বক্তা, ইমামতের মানদণ্ড, নবীজীর হাতের দুই গুচ্ছ ফুল আর বেহেশতবাসী যুবকদের নেতা হাসান ও হোসাইনের পিতা।
৮) পরিপূর্ণ এবং প্রকৃত সৌভাগ্যবান সে-ই যে ইমাম আলী (আ) কে তাঁর
জীবৎকালে এবং তাঁর মৃত্যুর পর ভালবাসবে।
৯) রাসূলে খোদা (সা) এর আহলে বাইত, ইমামত এবং রাহবারি হচ্ছে বিচ্ছিন্নতা
থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তার নেপথ্য শক্তি। আর আল্লাহর পথে জেহাদ হলো
ইসলামের অমরত্ব আর সম্মান ও মর্যাদার উৎস।
১০) হে পরোয়ারদেগার! হে মহান! যেসব নবী-পয়গাম্বরকে তুমি মনোনীত করেছো তাদের সম্মানে এবং আমার বিরহে হাসান ও হোসাইনের কান্নার ওসিলায় তোমার নিকট আবেদন করছি-তুমি আমার অনুসারীদের এবং আমার সন্তানদের অনুসারীদের গুনাহগুলোকে মাফ করে দাও।
১১) পার্থিব জগতপূজারীদের পৃথিবীকে আমি ভালোবাসি না।
১২) তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম যে অন্যদের সাথে সদয় এবং নম্র ব্যবহার করে।
১৩) সে ব্যক্তিই সবোর্ত্তম মূল্যবোধের অধিকারী যে তার স্বামী বা স্ত্রীর ব্যাপারে সদয় এবং ক্ষমাশীল।
১৪) যে স্ত্রী নিজের ঘরে থাকে এবং সন্তান-সন্ততির লালন-পালন,তাদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজের জীবন কাটায়,সে আল্লাহর খুব নিকটবর্তী।
১৫) কিয়ামতের দিন ইসলামের নবী (সা) এর গুনাহগার উম্মাতের জন্যে আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবো।
১৬) সূরা হাদিদ,সূরা ওয়াকিয়া এবং সূরা আর-রাহমান তেলাওয়াতকারীদেরকে যমীনে এবং আসমানে বেহেশতের অধিবাসী বলা হয়।
১৭) তোমার পৃথিবীর তিনটি জিনিস আমার কাছে প্রিয়ঃ
• কোরআন তেলাওয়াত।
• রাসূলে খোদা (সা) এর চহারা দেখা এবং
• আল্লাহর পথে দান-খয়রাত করা।
১৮) বাহনের মালিক নিজের বাহনের একজন আরোহীর চেয়ে অনেক বেশি উপযুক্ত।
১৯) শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং মুসলমানদের মধ্যকার বিচ্ছিন্নতাকে ঐক্যে পরিবর্তন
করার জন্যেই ইমামত।
ফাতেমা (রঃ) এর ব্যক্তিত্ব এবং নারীর মর্যাদা বিষয়ক হাদিস
২) প্রত্যেকেরই দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যের গোড়াপত্তন ঘটে মায়ের গর্ভে।
৩) মা-ই হলেন তার সন্তানের ইহকালীন এবং পরকালীন সৌভাগ্য নিশ্চিত করার প্রশিক্ষক।
৪) যখনি বেহেশতের ঘ্রাণ নেওয়ার ইচ্ছে জাগে তখনি ফাতেমাকে শুঁকি।
৫) আমার মেয়ের নাম রাখা হয়েছে ফাতেমা, কেননা আল্লাহ তাকে এবং তার
ভক্তদেরকে দোযখের আগুন থেকে দূরে রেখেছেন।
৬) আমি হলাম বৃক্ষ, ফাতেমা সেই বৃক্ষের শাখা, আলী সেই বৃক্ষের সার, হাসান এবং হোসাইন সেই বৃক্ষের ফল এবং আহলে বাইতের অনুরাগীরা হলেন বেহেশ্তি সেই বৃক্ষের পাতা।
৭) যে ফাতেমাকে তার উপযুক্ত মর্যাদাসহ চিনতে পেরেছে, সে শবে-কদরকে উপলব্ধি করতে পেরেছে। আর তাঁর ফাতেমা নামকরণের কারণ হলো কোনো সৃষ্টিই তাঁর অন্তর্দৃষ্টির পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে না।
৮) যে-ই তাকে বিরক্ত করবে,সে যেন আমাকেই বিরক্ত করলো,আর যে আমাকে জ্বালাতন করলো সে আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হলো।
৯) ফাতেমা আমার দেহের অঙ্গ,আমার চোখের মণি এবং আমার হৃদয়ের ফল।
১০) ফাতেমা (সা)'র অন্তর থেকে শুরু করে সকল অস্থি-মাংস এককথায় শরীরের
সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহ ঈমান ও বিশ্বাসে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন,যেভাবে
পরিপূর্ণ আন্তরিকতার সাথে তিনি আল্লাহর আনুগত্যে নিমজ্জিত থাকেন।
১১) উত্তম নারীর জেহাদ হচ্ছে স্বামী সেবা।
১২) নফল নামায পড়া অবস্থায় যদি পিতা তোমাকে ডাকে তাহলে নামায ছাড়া যাবে না, কিন্তু যদি তোমার মা তোমাকে ডাকে তাহলে নামায ছেড়ে দাও।
১৩) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রতি অধিকতর দয়াশীল।
১৪) কিয়ামতের দিন সে-ই আমার বেশি নিকটবর্তী হবে যে তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে
সবোর্ত্তম মানবিক আচরণ করবে।
১৫) মুমিন ব্যক্তি তার স্ত্রীর পছন্দের খাবার খায় আর মোনাফেকের স্ত্রী তার স্বামীর
পছন্দের খাবার খায়।
পহেলা বৈশাখ পালন করলে জীবনের সব নেক আমল বরবাদ হয়ে যায় !!!

হযরত ইমাম আবু হাফস্ কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটি ডিমও দান করে তাহলে তার ৫০ বছরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগীর সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
অতত্রব, পহেল বৈশাখ উপলক্ষে বিশেষ পোশাক পরিধান করা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা, দ্রব্যমূল্যে বিশেষ ছাড় দেয়া, ইলিশ-পান্তা খাওয়া, ফলমুল খাওয়া সবকিছুই বিজাতীয় ও বিধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে তাশাব্বুহ বা মিল হিসেবে হারামের অন্তর্ভুক্ত। যদি কোনো মুসলমান তাদের সাথে মিল রেখে পহেলা বৈশাখ পালন করে তবে শরীয়ত-এর দৃষ্টিতে সে আর মুসলমান থাকতে পারে না। অর্থ্যাৎ তার জীবনের সব নেক আমল বরবাদ হয়ে যায়।
মা সম্পর্কিত হাদিস
২) ইমাম সাদেক (আ) বলেছেনঃ এক লোক রাসূলের খেদমাতে এসে আরজ করলো-হে রাসুল! খেদমত করবো কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর? রাসূল বললেন-তোমার মায়ের। লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলো তারপর কার? নবীজী বললেন-তোমার বাবার। ( আল-কাফিঃ ৯/১৫৯/২,মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )
৩) রাসূলে কারিম (সা) বলেছেনঃ নারীর প্রতি সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার স্বামীর,আর পুরুষের উপর সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার মায়ের। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৪৭৭১, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ২৫৪ )
বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২
নাস্তিক্যবাদ কি? নিজে জানুন অন্যকে জানান !!! অবশ্যই পড়ুন
নাস্তিক্যবাদ
(ইংরেজি ভাষায়: Atheism; অন্যান্য নাম: নিরীশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ) একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। আস্তিক্যবাদ এর বর্জন কেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয় বরং অবিশ্বাস এবং সংশয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতিই এখানে মুখ্য।
ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ (ἄθεος) শব্দটি থেকে। শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করে। দিনদিন মুক্ত চিন্তা, সংশয়বাদী চিন্তাধারা এবং ধর্মসমূহের সমালোচনা বৃদ্ধির সাথে সাথে নাস্তিক্যবাদেরও প্রসার ঘটছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম কিছু মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ২.৩% মানুষ নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয় দেয় এবং ১১.৯% মানুষ কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না। জপানের ৬৪% থকে ৬৫% নাস্তিক অথবা ধর্মে অবিশ্বাসী। রাশিয়াতে এই সংখ্যা প্রায় ৪৮% এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নে ৬% (ইতালী) থেকে শুরু করে ৮৫% (সুইডেন) পর্যন্ত।
পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণ ভাবে ধর্মহীন বা পরলৌকিক বিষয় সমূহে অবিশ্বাসী হিসেবে গণ্য করা হয়।কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মের মত যেসব ধর্মে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় না, সেসব ধর্মালম্বীদেরকেও নাস্তিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু নাস্তিক ব্যক্তিগত ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, হিন্দু ধর্মের দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ এবং প্রকৃতিবাদে বিশ্বাস করে। নাস্তিকরা কোন বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং তারা সকলে বিশেষ কোন আচার অনুষ্ঠানও পালন করে না। অর্থাৎ ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ, যে কোন মতাদর্শে সমর্থক হতে পারে,নাস্তিকদের মিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই, আর তা হল ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে অবিশ্বাস করা।
আধুনিক যুগে নাস্তিক্যবাদ
একবিংশ শতাব্দী
একবিংশ শতাব্দীতে কয়েকজন নাস্তিক গবেষক ও সাংবাদিকের প্রচেষ্টায় নাস্তিক্যবাদের একটি নতুন ধারা বেড়ে উঠেছে যাকে “নব-নাস্তিক্যবাদ” বা “New Atheism” নামে ডাকা হয়। ২০০৪ সালে স্যাম হ্যারিসের দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন বইয়ের মাধ্যমে নব-নাস্তিক্যবাদের যাত্রা শুরু হয়েছে বলে মনে করেন আরেক প্রখ্যাত নব-নাস্তিক ভিক্টর স্টেংগার। প্রকৃতপক্ষে স্যাম হ্যারিসের বই প্রকাশের পর এই ধারায় আরও ছয়টি বই প্রকাশিত হয় যার প্রায় সবগুলোই নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলারে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়। সব মিলিয়ে নিচের বইগুলোকেই নব-নাস্তিক্যবাদী সাহিত্যের প্রধান উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়:
১. দি ইন্ড অব ফেইথ: রিলিজান, টেরর, এন্ড দ্যা ফিউচার অব রিজন (২০০৪) – স্যাম হ্যারিস
২. লেটার টু এ কৃশ্চিয়ান নেশন (২০০৬) – স্যাম হ্যারিস
৩. দ্যা গড ডিলিউশন (২০০৬)-রিচার্ড ডকিন্স
৪. ব্রেকিং দ্যা স্পেল: রিলিজান এ্যাজ এ ন্যাচারাল ফেনোমেনন (২০০৬) – ড্যানিয়েল ডেনেট
৫. গড: দ্যা ফেইলড হাইপোথিসিস- হাউ সাইন্স সোজ দ্যাট গড ডাজ নট এক্সিস্ট (২০০৭)- ভিক্টর স্টেংগার
৬. গড ইজ নট গ্রেট: হাউ রিলিজান পয়জনস এভরিথিং (২০০৭) – ক্রিস্টোফার হিচেন্স
৭. দ্যা নিউ এইথিজম (২০০৯) – ভিক্টর স্টেংগার
শেষোক্ত বইয়ে ভিক্টর স্টেংগার এই ব্যক্তিদেরকেই নব-নাস্তিক্যবাদের প্রধান লেখক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। উল্লেখ্য, নব-নাস্তিকেরা ধর্মের সরাসরি বিরোধিতা করেন। তারা ধর্মকে প্রমাণবিহীন বিশ্বাস বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ ধরনের বিশ্বাসকে সমাজে যে ধরনের মর্যাদা দেয়া হয় সেটার কঠোর বিরোধিতা করেন।
বস্তুবাদ
দর্শনের সবচেয়ে প্রাথমিক মতবাদগুলোর একটি হল বস্তুবাদ। আমাদের চারপাশের জগতের যেসব অস্তিত্ত্ব আমরা পর্যবেক্ষণ করি বস্তুবাদ অনুযায়ী তারা যেকোন প্রকার চেতনা নিরপেক্ষ। যে দার্শনিক ধারায় ধরে নেওয়া হয় যে পৃথিবী বস্তুগত, তার অস্তিত্ব আছে বিষয়গতভাবে, চৈতন্যের বাইরে ও চৈতন্য-নিরপেক্ষভাবে, বস্তুই মুক্ষ, তা কারো দ্বারা সৃষ্টি হয়নি এবং আছে বাহ্যিকভাবে, চৈতন্য, চিন্তন হল বস্তুরই একটি গুণধর্ম; পৃথিবী ও তার নিয়মগুলি জ্ঞেয়। বস্তুবাদ ভাববাদের বিরোধী এবং তাদের সংগ্রামই ওইতিহাসিক-দার্শনিক প্রক্রিয়ার আধেয়। বস্তুবাদ কথাটি ১৭শ শতাব্দীতে ব্যবহৃত হয়েছিল প্রধানত বস্তু সম্বন্ধে পদার্থবিদ্যাগত ধারণাগুলির অর্থে এবং ১৮শ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে তা ব্যবহৃত হয়েছে দার্শনিক অর্থে, ভাববাদের বৈপরীত্যে।
বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২
কিয়ামতের আলামত
মহা নবী (সঃ) ও আজকের যুবক
'বালাগাল উলা বিকামালিহি
কাসাফাদ্দজা বি জামালিহি
হাসানাত জামিউ খিসালিহি
সাল্লু আলাইহে অয়া আলাইহি
আকজন যুবক কিশোর এর জন্য নবী করিম (সঃ) এর আদর্শ ।
নবী করিম(স) কেমন ছিলেন কেমন ছিল তার চরিত্র আজ আমাদের মাঝে তার আদর্শ কে ফুতিএ তুলতে হবে ।তাই আমার আহবার আজকের যুবকদের পতি আসুন আমরা রাসুল (সঃ) এর আদরশে গরে উঠি এবং সুন্দর জীবন গঠন করি।
মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২
হে মুমিনগণ!
সূরা বাকারা আয়াত ২৮২
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১২
মহানাবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর আমর বানি
(২)যে বেক্তি যোহরের নামাজ ছেরে দেই তার রুজি কমিয়া যাই।
(৩) যে বেক্তি আসরের নামাজ ছেরে দেই তার সরিলের সক্তি কমিয়া যাই।
(৪)যে বেক্তি মাগ্রিবের নামাজ ছেরে দেই তার ধন সম্পদ কন কাজে আসবেনা ।
(৫)জে বেক্তি এশার নামাজ ছেরে দেই তার ঘুমে কোন তিপ্তি আসবে না।
(আল হাদিস)
ফ্যাশন শো না পাসান শো ?
আসুন এটার বিসয় সচেতন হই এ টা আমাদের ধংসের দিকে নিএ জাসছে।
ডঃ জাঁকিরনায়েক এর বার্তা
সমাজ সেবাই যুবকদের করনীয়
(ক) আসহাই,আনাথ,আতিম ও বিদহ বাদের সাহাজ্জ করা।
(খ) বিদেশী মেহমানের সেবা করা।
(গ) বিদেশী পথ চারি ও দুর্বলের উপর আবিচার হইতে না দেওয়া।
(ঘ) কর্মহীন দের কর্ম জিবিকা উপাই করিয়া দেওয়া।
(উঃ) আস্মানি বালা-মুসিবাদ হয়লে বিপদ্গ্রস্ত দের জন্য সমাজে চাদা তুলিয়া সাহাজ্জ করা।
আসুন আমরা সথিক সমাজ গঠন করি ।
রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২
ইমানের মজবুতি করার জন্য
আর এটাই আজ আমাদের ইমান দংসের মুল মাধ্যম (আসুন আসব থেকে বিরত থাকি আখিরাত কে মনে করি ।