মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১২

১) সূরা আল ফাতিহা ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ৭



بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
01
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। 
 
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
02
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। 
 
الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ
03
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। 
 
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
04
যিনি বিচার দিনের মালিক। 
 
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
05
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। 
 
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
06
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, 
 
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ
07
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১২

এসে গেল !!বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সহী “কুরআন শরীফ” শিক্ষা

  (১ম খন্ড)  যারা কুরআন শরীফ পড়তে জানেন না বা অল্প জানেন এই টিউনটি তাদের জন্যে। কুরআন শরীফ এখন আপনার জন্যে আরও সহজ ভাবে শিখতে চালু হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
এটাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলার কারন: ক্বারী মাওলানা রমজান আলী সহ বড় বড় আলেমদের সহযোগিতায় তিনি এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্যগটি তাহার নিজের। আর শিখানোর জন্যে আলাদা প্রশিক্ষক শিক্ষক আছে। যাহার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাহার কাছ থেকে।
বিশেষ কারন: সর্বজন শ্রদ্বেয় আলীম এ দ্বীন বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম খতীব,প্রাপ্তণ হযরত মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেব তিনি এ পদ্ধতি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং বলেন, " এ পদ্ধতি সর্ম্পকে আমার কোন ধারনা ছিল না, এখন দেখে বুঝতে পারলাম, ক্বারী মাওলানা রমজান আলীকে আল্লাহ্ পাক কুরআন শিক্ষা দেবার হিকমত দান করেছেন। "
আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।
আজকে প্রথম পর্বে বিপদজনক মাখরাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল ।
আরবে বর্ণমালা গুলো কিভাবে উচ্চারিত হয় ত নিম্নে দেয়া হল :
ا ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن ه و أ ي
১। হলকের শুরু হইতে শক্ত ভাবে আদায় হবে হামজা أ
২। ث(ছা) জিহ্বার আগার কিনারা সামনের নিচের দাঁতের কিনারা হতে নরম ভাবে আদায় হবে।
৩। [অন্যান্য অক্ষর গুলো নরমাল ভাবে আদায় হবে।]
৪। ح(লম্বা হা) হলকের মাঝখান হতে গলায় শোঁ শোঁ শব্দ হবে।
৫। ج(জীম্) জিহ্বার মাঝখান(উপরের তালু ) থেকে শক্ত ভাবে আদায় হবে।
৬। ذ(যাল্) জিহ্বার আগা(সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা) থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
৭। ز(জা/যা্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের আগা থেকে শিষসহ পাতলাভাবে আদায় হবে।
৮। س(সীন্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ পাতলা ভাবে আদায় হবে।
৯। ص(ছ্বদ্) জিহ্বার আগা সামনের নিচের দাঁতের আগা থেকে শিষ সহ মোটা ভাবে আদায় হবে।
১০। ض(দ্বদ্) সামনের দাঁতের সাথে জিহ্বার আগা না লাগিয়ে , জিহ্বার গোড়ার বাম কিনারার উপরের মাড়ি দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১১। ط(ত্ব) জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১২। ظ(জ্ব) জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগা থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৩। ع(আঈন) হলকের মধ্য থেকে গলায় চিপে আদায় হবে।
১৪। ق(ক্বফ্) জিহ্বার গোড়া থেকে মোটা ভাবে আদায় হবে।
১৫। و(ওয়াও) দুই ঠোঁটের মাঝখানের ফাঁক থেকে আদায় হবে।
১৬। ي(ইয়া) জিহ্বার মাঝখান থেকে নরম ভাবে আদায় হবে।
১৭। أ(হামজাহ্) হলকের শুরু হতে শক্ত ভাবে আদায় হবে।
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
> এবং আরও অনেকে।
 ------------------------------------------------------------------------------------------------
 (২য় খন্ড)  আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে রমজান মাসের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি,বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ২য় খন্ড(হরকত,তানবীন,সুকূন,তাশদীদ্ এর ব্যবহার)।
[আমি নিজেই হাতে কলমে সপ্তাহে ৫দিন সহ প্রায় ৩মাস ১ঘন্টা করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের এলাকার মসজিদে। অর্থাৎ আমি নিজেই ভালমত প্রশিক্ষণটা নিয়ে আপনাদের সাথে Share করতেছি।]
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:
**হারকত্:যের,যবর,পেশ কে হারকত্ বলা হয়। হারকতের উচ্চারণ তাড়াতাড়ি করতে হয়।
**তানভীন: দুই যবর, দুই পেশ, দুই যের কে তানভীন বলা হয়। তানভীনের ভিতরে ,নূন সাকিন লুকায়িত থাকে।
**সুকূন: এটাকে জ্বজমও বলা হয়। যেমন-لُ
**তাশদীদ: এটিতে অতিরিক্ত একটি হারকত থাকে। যেমন-أنَّ
বি:দ্র: 'আলিফ' এর সাথে হারকত,তানভীন,সুকূন থাকলে আলিফ তখন 'হামজাহ' হয়।
## ইস্তিয়লা ৭ হরফ ...
ইস্তিয়লাঃ ص ض ط ظ ق غ خ সব সময় মোটা হবে এসব হরফ। যেমন ط যবর 'তা' না হয়ে , হবে 'ত্ব' ।
ق যবর 'ক্বা' না হয়ে হবে 'ক্ব' ।
ص যবর 'সা' না হয়ে হবে 'ছ্ব' ।
خ যবর 'খা' না হয়ে হবে 'খ' ।
ظ যবর 'জ্বা' না হয়ে হবে 'জ্ব'।
غ যবর 'গা' না হয়ে হবে 'গ'।
বি:দ্র: 'র' এর উপর যবর/পেশ থাকলে 'র' হরফ মোটা। যেমন- 'র' যবর 'রা' না হয়ে হবে 'র'।
## ছ্বফীরহঃ ছ্বফীরহ ৩টি হরফ নাম তার ص س ز । এই তিনটি অক্ষর উচ্চারিত হবার সময় শিষ আসবে। যেমন :
ز সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
ص সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
س সিফাতে ছ্বফীরহ শিষ দেয় ছ্বফীরহ।
## ক্বলক্বলাহ্ঃ ক্বলক্বলাহর ৫টি হরফ নাম তার ب ط ق د ج । এসব অক্ষরে সুকূন বা যজম ٨ থাকলে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়। যেমন :
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ب সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আব্"।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ج সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আজ্"।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' , 'আ' লাগবে ط সাকিন এর সাথে , তাহলে হবে "আত্"।
(প্রতিধ্বনি সূষ্টি করে ক্বলক্বলায়ে পড়তে হয়){এভাবে অন্যান্য গুলো পড়তে হবে}
## ওয়াজিব গুন্নাহ্ : ওয়াজিব গুন্নাহ্ ২টি হরফ, নাম তার م ن এবং এদের উপর তাশদীদ থাকলে গুন্নাহ্ করা ওয়াজিব । গুন্নাহ্ এক আলিফ টানতে হয় । যেমন :
أ হামজাহ্ যবর 'আ' 'আ' লাগবে م তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ'ম্মা ।
أ হামজাহ্ যবর 'আ' 'আ' লাগবে ن তাশদীদ এর সাথে। তাহলে হবে আ'ন্না । যেমন: أنَّ
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------

(৩য় খন্ড) দিয়ে শুরু করছি, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষার ৩য় খন্ড (মাদের ব্যবহার)।

কুরআন শরীফ শিক্ষার জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাদের ব্যবহার না জানলে সহীভাবে কুরআন পড়া অসম্ভব।
আপনি কি জানেন !! কুরআন শরীফ সেই গ্রন্থ যাতে কোন সন্দেহ নেই ? এই কুরআনের কারনে...
** হযরত মুহাম্মাদ(স) কে শ্রেষ্ঠ নবীর উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** হযরত জীবরাঈল(আ) কে শ্রেষ্ঠ ফেরেশতার উপাধি দেওয়া হয়েছে।
** রমজান মাসকে শ্রেষ্ঠ মাস বলা হয়েছে, যেহেতু এই মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে।
** শবে ক্বদরের রাত্র কে শ্রেষ্ঠ রাত বলা হয়েছে,শুধু এই কুরআনের কারনে।
** যারা কুরআন শিখে এবং শিক্ষা দেয়, তাদের কে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয়েছে।
** এছাড়াও আরও অনেক ফযিলত আছে।
যাই হোক মূল কথায় আসি।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম:(এখানে রাহিম/রাহমানির এগুলা পড়া যাবে না, যেহেতু "র" হরফ মোটা)
### মাদে আছ্বলী(১ম খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :
**যেরের বামে ইয়া সাকিন,নইলে যেরটা খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যের থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** পেশের বামে ইয়া সাকিন,নইলে পেশটা উল্টা হয়, এই দুই ধরণের পেশ থাকলে, এক আলিফ টানতে হয়।
** যবরের বামে খালি আলিফ, নইলে যবর খাড়া হয়, এই দুই ধরণের যবর থাকলে ,এক আলিফ টানতে হয়।
সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।
### মাদে আছ্বলী(২য় খন্ড) : মাদের হরফ ৩টি, এর সাহায্যকারী তিনটি। যথা :
نوحيها নু(এক আলিফ টান)হি্(এক আলিফ টান)হা(এক আলিফ টান) কারন নুনের উপর পেশ আর ওয়াও এর উপর সাকিন, আবার হা্ এর নিচে যের আর ইয়া এর উপর সাকিন, আবার হা এর উপর যবর আর যবর এর বামে খালি আলিফ, তাই টান হবে। সবগুলো মাদের হরফ এক আলিফ মাদে আছ্বলী।
### মাদে মুংফাছ্বিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি লম্বা হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে তিন আলিফ মাদে মুংফাছ্বিল। অর্থাৎ তিন আলিফ টানতে হবে। যেমন :
يَا أ
لَا أ [এখানে ي এর উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ (মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে লম্বা হামজাহ্, তাই ইয়া তিন আলিফ টানতে হবে।]
### মাদে মুত্তাছিল : মাদে আছ্বলীর বামে যদি গোল হামজাহ্ পাওয়া যায় , তাতে চারআলিফ মাদে মুত্তাছিল । অর্থাৎ চার আলিফ টানতে হবে। যেমন :
جَاءَ [এখানে ج উপর যবর ,তার বামে খালি আলিফ(মাদে আছ্বলী) এবং তারও বামে গোল হামজাহ্ ,তাই জা চার আলিফ টানতে হবে।]
### মাদে আরদ্বী: মাদে আছ্বলীর বামে যদি আরদ্বী সাকিন্ হয়, তবে তিন আলিফ মাদে আরদ্বী। দম ফেলিলে ৩ আলিফ ,নইলে ১ আলিফ টানতে হবে। যেমন : حِيم
বি দ্র: ح এর নিচে যের এবং ي এর উপর সাকিন্ আছে , তাই م কে আরদ্বী সাকিন্ ধরে পড়তে হবে।
### মাদে লীনঃ হারফে লীন দুইটি । যথা: 'ইয়া' সাকিন ডাইনে যবর , 'ওয়াও' সাকিন ডাইনে যবর।
যের ,যবর, পেশ আর ২যবর, ২পেশ, পাইলে দম ফেলিবার সময়, সেথায় , আরদ্বী সাকিন হইবে। (আরদ্বী সাকিন মনে মনে ধরা সাকিন)
যথাঃ বাঈত ب > بيت এর যবর, ي এর উপর সাকিন, ت এর নিচে যের >
বি:দ্র: হারফে লীনের বামে , যদি আরদ্বী সাকিন হয় তাকে দুই আলিফ মাদে লীন কয়।
### মাদে বাদলঃ মাদে আছ্বলী যদি কখনো, হামজার সাথে পাওয়া যায় ,তার নাম মাদে বাদল, ১ আলিফ টানতে হয়।
যেমন: إِيلَافِهِمْ
### মাদে ছ্বিফাতে শাদীদাহ্ঃ হামজাহ্ ছিফাতে শাদীদাহ্, আওয়াজ শক্তভাবে বন্ধ করে শাদীদাহ্।
যেমন: يَأْكُلُ (ইয়া্কুলু)
সূত্রঃ
>>ক্বারী মাওলানা মুহাম্মাদ রমজান আলী (মূল লেখক)
যাদের কাছে কৃতজ্ঞ:
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল হক (খতীব,বায়তুল মুকাররম)
>মাওলানা মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন খান (সম্পাদক, মাসিক মদীনা)
>মাওলানা মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ (রেডিও টিভি)
>ড.মুফতী মাওলানা মুহাম্মাদ ফারুক হোসেন
> এবং আরও অনেকে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১২

একটি ভিন্ন রকম পোস্ট

কাকে সিফা, এটি এমন একটি জায়গা যেখানে, কোন এক যুদ্বে নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কয়েক জন সাহাবি আহাত হয়ে ছিলেন নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাদের কে বলেছিলেন এই জায়গার ধুল ক্ষত স্হানে মেখে নিতে। সাহাবিরা সেই ধুল মাখার পরে তাদের উপসম মিলে ছিল।
সুবাহানআল্লাহ !

অনুগ্রহ করে সবাই পোস্ট টি শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন, আমি মনে করি এই পোস্ট আমাদের সবার শেয়ার করা উচিৎ !

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২

দেহের ইলেকট্রো- ম্যাগনেটিক তরঙ্গ নিষ্ক্রিয় করার উৎকৃষ্ট উপায় হলো '' সিজদা ''

মানুষের শরীর প্রতিদিন বিপুল পরিমান ইলেকট্রো- ম্যাগনেটিক তরঙ্গ গ্রহণ করে , যার উৎস ইলেকট্রিক বাতি, মোবাইল , রেডিও , ক্যালকুলেটর, রিমোট কন্ট্রোল, গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইত্যাদি । 

যার ফলে মাথা বেথা, শরীর বেথা, অসস্থি , আলস্য, এমনকি মরণ ব্যাধি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাই মুক্তির শেষ ও এক মাত্র পথ হচ্ছে নামাজ ! 

সুত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত !

"ডঃ জাকির নায়েক" আল-কুরআন এবং বর্তমান বিজ্ঞান

"ডঃ জাকির নায়েক"আল কুরআন সম্পর্কে বিজ্ঞানের ভুল ধারণা গুল তুলে ধরেসেন আসাকরি সবাই দেকবেন।

সাহাবায়ে কিরাম আমাদের প্রেরনা :: হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ)


হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (সাঃ) এর একজন প্রিয় সাহাবী। তার পূর্ব পরিচিত ছিল এরূপঃ বাইরের জগতের সাথে মক্কার সংযুক্তি ঘটিয়েছে যে, আদ্দান উপত্যকাটি, সেখানেই ছিল গিফার গোত্রের বসতি। জুনদুব ইবনে জুনাদাহ আবু যর নামেই যিনি পরিচিত-তিনিও ছিলেন এ কবীলার সন্তান। বাল্যকাল থেকেই তিনি অসীম সাহস, প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টির জন্য ছিলেন সকলের থেকে স্বতন্ত্র। জাহেলী যুগে জীবনের প্রথম ভাগে তার পেশাও ছিল রাহাজানি। গিফার গোত্রের একজন দুঃসাহসী ডাকাত হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে তার জীবনে ঘটে যায় এক পরিবর্তন। তার গোত্রীয় লোকেরা এক আল্লাহ ছাড়া সকল মূর্তির পূজা করত। তাতে তিনি গভীর ব্যথা অনুভব করতেন। কিছুদিন পরেই তিনি নিজেই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলেন।

তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ। ইবনে হাজার ‘আল ইসাবা’ গ্রন্থে তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। সংক্ষেপে এভাবে বলা যায়, তিনি তার গোত্রের সাথে বসবাস করছিলেন। একদিন সংবাদ পেলেন মক্কায় এক নতুন নবীর আবির্ভাব হয়েছে; তাই তিনি তার ভাই আনিসকে ডেকে বললেনঃ তুমি একটু মক্কায় যাবে। সেখানে যিনি নিজেকে নবী বলে দাবি করেন এবং আসমান থেকে তার কাছে ওহী আসে বলে প্রচার করে থাকেন; তার সম্পর্কে কিছু তথ্য সংগ্রহ করবে, তার মুখের কিছু কথা শুনবে। তারপর ফিরে এসে আমাকে অবহিত করবে। আনিস মক্কায় চলে গেলেন। রাসূল (সাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তার মুখ নিঃসৃত বাণী শ্রবণ করে নিজ গোত্রে ফিরে এলেন। আবু যর (রাঃ) খবর পেয়ে তখনই ছুটে গেলেন আনিসের কাছে। অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে নতুন নবী সম্পর্কে নানান কথা তাকে জিজ্ঞেস করলেন। আনিস বললেনঃ কসম আল্লাহর। আমি তো লোকটি দেখলাম, মানুষকে তিনি মহৎ চরিত্রের দিকে আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এমন কথা বলেন যা কাব্য বলেও মনে হল না। মানুষ তার সম্পর্কে কি বলাবলি করে? কেউ বলে- তিনি একজন যাদুকর, কেউ বলে গণক, আবার কেউ বলে কবি। আল্লাহর কসম। তুমি আমার তৃষ্ণা মেটাতে পারলে না। আমার আকাঙক্ষাও পূরণ করতে সক্ষম হলে না। তুমি কি পারবে আমার পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে, যাতে আমি মক্কায় গিয়ে স্বচক্ষেই তার অবস্থা দেখে আসতে পারি? তবে আপনি মক্কাবাসীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন।

পরদিন সকালে আবুযর চললেন মক্কার উদ্দেশ্যে। সাথে নিলেন কিছু পাথেয় ও এক মশক পানি। সর্বদা তিনি শংকিত, ভীত চকিত। কোন ব্যক্তির কাছে মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কোন কথা জিজ্ঞেস করা তিনি সমীচীন মনে করলেন না। কারণ, তার জানা নেই এ জিজ্ঞাসিত ব্যক্তিটি মুহাম্মদের বন্ধু না শত্রম্ন? দিনটি কেটে গেল। রাতের আঁধার নেমে এল। তিনি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। বিশ্রামের উদ্দেশ্যে তিনি শুয়ে পড়লেন মাসজিদুল হারামের এক কোণে। আলী ইবন আবী তালিব যাচ্ছিলেন সে পথ দিয়েই। দেখে তিনি বুঝতে পারলেন লোকটি মুসাফির। ডাকলেন, আসুন আমার বাড়িতে। আবুযর গেলেন তার সাথে এবং সেখানেই রাতটি কাটিয়ে দিলেন।

সকালবেলা পানির মশক ও খাবারের পুঁটলিটি হাতে নিয়ে আবার ফিরে এলেন মাসজিদে। তবে দু’জনের একজন ও একে অপরকে কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। পরের দিনটিও কেটে গেল। কিন্তু নবীর সাথে পরিচয় হল না। আজো মাসজিদে শুয়ে পড়লেন। আজো আলী (রাঃ) আবার সে পথ দিয়েই যাচ্ছিলেন। বললেনঃ ব্যাপার কি, লোকটি আজো তার গন্তব্যস্থল চিনতে পারেনি? তিনি তাকেই আবার সাথে করে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। এ রাতটি সেখানে কেটে গেল। এদিনও কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। একইভাবে তৃতীয় রাতটি নেমে এল। আলী (রাঃ) আজ বললেন- বলুন তো আপনি কি উদ্দেশ্যে মক্কায় এসেছেন? তিনি বললেন, যদি আমার কাছে অঙ্গীকার করেন, আমার কাঙিক্ষত বিষয়ের দিকে আপনি আমাকে পথ দেখাবেন, তাহলে আমি বলতে পারি। আলী (রাঃ) অঙ্গীকার করলেন। আবু যর বললেনঃ আমি অনেক দূর থেকেই মক্কায় এসেছি নতুন নবীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এবং তিনি যেসব কথা বলেন, তার কিছু শুনতে। আলীর (রাঃ) মুখ-মণ্ডল আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বললেন, আল্লাহর কসম, তিনি নিশ্চিত সত্য নবী। একথা বলে তিনি নানাভাবে নবীর (সাঃ) পরিচয় দিলেন। তিনি আরো বললেন, সকালে আমি যেখানেই যাই, আপনি আমাকে অনুসরণ করবেন। যদি আমি আপনার জন্য আশংকাজনক কোনকিছু লক্ষ্য করি তাহলে প্রস্রাবের ভান করে দাঁড়িয়ে যাব। আবার যখন চলব, আমাকে অনুসরণ করে চলতে থাকবেন। এভাবে আমি যেখানে প্রবেশ করি আপনিও সেখানে প্রবেশ করবেন। প্রিয়নবী দর্শন লাভ ও তার ওপর অবতীর্ণ প্রত্যাদেশ শ্রবণ করার প্রবল আগ্রহ ও উৎকণ্ঠায় আবু যর সারাটা রাত বিছানায় স্থির হতে পারলেন না। পরদিন সকালে মেহমান সাথে করে আলী (রাঃ) চললেন রাসূল (সাঃ)-এর বাড়ির দিকে। আবু যর তার পেছনে পেছনে। পথের আশপাশের কোনকিছুর প্রতি তার ভ্রম্নক্ষেপ নেই। এভাবে তারা পৌঁছলেন রাসূল (সাঃ)-এর কাছে। আবু যর সালাম করলেন। আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ। রাসূল (সাঃ) জবাব দিলেন, ওয়া আলাইকাস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ। এভাবে আবু যর সর্বপ্রথম ইসলামী কায়দায় রাসূল (সাঃ)-কে সালাম পেশ করার গৌরব অর্জন করেন। অতঃপর সালাম বিনিময়ের এ পদ্ধতিই গৃহীত ও প্রচারিত হয়।

রাসূল (সাঃ) আবু যরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন এবং কুরআনের কিছু আয়াত তেলাওয়াত করে শোনালেন। সেখানে বসেই আবু যর কালেমায়ে তাওহীদের পাঠ করে নতুন দ্বীনের মধ্যে প্রবেশের ঘোষণা দিলেন এবং তার সাথে সাথেই তাওহীদের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য ওঠে-পড়ে লেগে গেলেন। আবু যর (রাঃ) বলেন-আমি মসজিদে এলাম। কুরাইশরা তখন একত্রে বসে গুজব করছে। আমি তাদের মাঝে হাযির হয়ে যতদূর সম্ভব উচ্চকণ্ঠে সম্বোধন করে বললাম, কুরাইশ গোত্রের লোকেরা আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল। এ কথা বলার সাথে সাথেই কুরাইশরা ভীত-চকিত হয়ে পড়ল এবং একযোগে সবাই আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং আমাকে বেদম প্রহার শুরু করল। রাসূলের চাচা- আব্বাস আমাকে চিনতে পেরে তাদের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করলেন। একটু সুস্থ হয়ে আমি রাসূল (সাঃ)-এর কাছে ফিরে গেলাম। আমার অবস্থা দেখে তিনি বললেন, তোমাকে ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলাম না? বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! নিজের মধ্যে এক প্রবল ইচ্ছা অনুভব করছিলাম। সে ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছি মাত্র।

আল্লামা ইবনে হাজার আসকালীন আল-ইসাবা গ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের সূত্রে বর্ণনা করেছেন- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন তাবুকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন, তখন লোকেরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যুদ্ধে গমনের ব্যাপারে ইতস্ততঃ প্রকাশ করতে লাগল। কোন ব্যক্তিকে দেখা না গেলে সাহাবীরা বলতেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ অমুক আসেনি। জবাবে তিনি বলতেন, যদি তার উদ্দেশ্য মহৎ হয়, তাহলে শিগগিরই আল্লাহ তাকে তোমাদের সাথে মিলিত করবেন। এক সময় আবুযরের নামটি উল্লেখ করে বলা হল, সেও পিঠটান দিয়েছে।

প্রকৃত ঘটনা হল, তার উটের ছিল মন্থর গতি। প্রথমে তিনি উটটিকে দ্রুত চালাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে জিনিসপত্র নামিয়ে নিজের কাঁধে উঠিয়ে হাঁটা শুরু করেন এবং অগ্রবর্তী মানজিলে রাসূল (সাঃ)-এর সাথে মিলিত হন। এক সাহাবী দূর থেকে তাকে দেখে বলে উঠলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ রাস্তা দিয়ে কে একজন যেন আসছে। তিনি বললেনঃ আবু যরই হবে। লোকেরা গভীরভাবে নিরীক্ষণ করে চিনতে পারল এবং বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আল্লাহর কসম, এতো আবু যরই। তিনি বললেন, আল্লাহ আবু যরের ওপর রহমত করুন। সে একাকী চলে, একাকীই মরবে, কিয়ামতের দিন একাই উঠবে। (তারীখুল ইসলামঃ আল্লামা যাহাবী ৩য় খণ্ড)।

রাসূল (সাঃ)-এর দ্বিতীয় ভবিষ্যৎ বাণীটি অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। হযরত আবু যর ছিলেন প্রকৃতিগতভাবেই সরল, সাদাসিধে, দুনিয়াবিরাগী ও নির্জনতা প্রিয় স্বভাবের। এ কারণে রাসূল (সাঃ) তাঁর উপাধি দিয়েছিলেন- ‘মসিরুল ইসলাম।’ রাসূল (সাঃ)-এর ওফাতের পর তিনি দুনিয়ার সাথে একেবারেই সম্পর্কহীন হয়ে পড়েন। প্রিয় নবীর বিচ্ছেদে তাঁর অন্তর অভ্যন্তরে যে দাহ শুরু হয়েছিল তা আর কখনো প্রশমিত হয়নি।

হযরত আবু যর (রাঃ) এর ওফাতের কাহিনীটিও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। হিজরী ৩১ মতান্তরে ৩২ সনে তিনি রাবজার মরুভূমিতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর সহধর্মিনী তাঁর অন্তিমকালীন অবস্থার বর্ণনা করেছেন এভাবে- আবু যরের অবস্থা যখন খুবই খারাপ হয়ে পড়ল, আমি তখন কাঁদতে শুরু করলাম। তিনি বললেন, কাঁদছ কেন? বললামঃ এক নির্জন মরুভূমিতে আপনি পরকালের দিকে যাত্রা করছেন। এখানে আমার ও আপনার ব্যবহ্নত বস্ত্র ছাড়া অতিরিক্ত এমন বস্ত্র নেই যা দ্বারা আপনার কাফন দেয়া যেতে পারে। তিনি বললেনঃ কান্না থামাও। তোমাকে একটি সুসংবাদ দিচ্ছি। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে একজন মরুভূমিতে মৃত্যুবরণ করবে এবং তার মরণের সময় মুসলিমদের একটি দল সেখানে অকস্মাৎ উপস্থিত হবে। আমি ছাড়া সে লোকগুলোর সকলেই লোকালয়ে ইন্তেকাল করেছে। এখন মাত্র আমিই বেঁচে আছি। তাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সে ব্যক্তি আমিই।

সেই কাফেলাটি হল ইয়ামেনী। তারা কুফা থেকে এসেছিল। আর তাদের সাথে ছিলেন বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)। এ কাফিলার সাথে তিনি ইরাক যাচ্ছিলেন। তিনিই আবু যরের জানাযার ইমামতি করেন এবং সকলে মিলে তাকে রাবজার মরুভূমিতে দাফন করেন।

ব্যধি হতে মুক্তির দোয়া

আবু আব্দুল্লাহ উসমান ইবনে আ'স হতে বর্ণিত যে রাসুল(সঃ) বলেসেন তুমি তোমার ব্যাধির স্তানে হাত রেখে তিনবার বিস্মিয়াল্লাহ ,এবং সাত বার আউজু বিইজ্জা তিল্লাহি অয়া ক্কুদ্রাতিহি মিন শাররি মা আজিদু অয়া উহাজিরু' বল। " অর্থাৎ আল্লাহ্‌র ইজ্জত এবং কুদ্রাতের আশ্রই গ্রহন করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি  এবং যা থেকে আমি ভই করছি।[মুসলিমঃ ৫৭৩৭]

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

জরুরি পোস্টঃ এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে ।

একজন মানুষ হিসাবে উচিৎ আপনার সবাই কে সতর্ক করা।

►► সুনামি সতর্কতাঃ বাংলাদেশসহ ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী ২৮ টি দেশে সুনামি সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। আজ ইন্দোনেশিয়ায় সংঘটিত ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার ও জাপান মেটেরিয়োলজিক্যাল এজেন্সির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ...
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫১ মিনিটে সুনামিটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। সুনামি আঘাত হানলে তার উচ্চতা ১৮ ফুটের বেশি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।

সবাই প্রার্থনা করুন এবং আপনার প্রিয়জনদের নিকট এই বার্তাটি পৌঁছে দিন। যে যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, খোদা আপনাদের সহায় হোন।
চট্টগ্রাম অবস্থানরত সকলকে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
পোস্টটি শেয়ার করে সবাই কে সতর্ক করুন প্লিজ।

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

মহানবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত খুবই কাছে এসে গেছে। তিনি নিকটবর্তী হওয়ার কতগুলো আলামত জানিয়ে দিয়ে গেছেন। আলামত গুলো ছোট

১. মানুষ ব্যাপকহারে ধর্মবিমুখ হবে,
২. বিভিন্ন রকমের পার্থিব আনন্দ এবং রং তামাশায় মেতে থাকবে,
৩. নাচ-গানে মানুষ মগ্ন থাকবে,
৪. মসজিদে বসে দুনিয়াদারীর আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত হবে,
৫. সমাজে ও রাষ্ট্রে অযোগ্য লোক এবং মহিলা নেতৃত্ব শুরু হবে,
৬. মানুষের মধ্যে ভক্তি, শ্রদ্ধা, স্নেহ ভালবাসা কমে যাবে,
৭. ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে,
৮. সব দেশের আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিবে,
৯. অত্যাধিক শিলা-বৃষ্টি হবে,
১০. বৃষ্টির সাথে বড় বড় পাথর বর্ষিত হবে,
১১. মানুষের রূপ পরিবর্তিত হয়ে পুরুষ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোক পুরুষের রূপ ধারন করবে।

কিয়ামতের সময় যখন আরও নিকটবর্তী হবে তখন ইমাম মাহদীর আগমন, দাজ্জালের আর্বিভাব, হযরত ঈসা (আঃ) এর আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ, ইয়াজুজ-মাজুজের উৎপাত, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদয়, কুরআনের অক্ষর বিলোপ, তাওবার দরজা বন্ধ, দুনিয়া হতে ইমানদারের বিলুপ্তি ইত্যাদি দেখা দেবে..........

বিস্তারিত জানতে হলে পডুনঃ
Click This Link 
.....................................................................................................
মহরম মাসের দশ তারিখ সমগ্র জগৎ সৃষ্টির দিন ও এদিন কেয়ামত অনুষ্টিত হবে
......................................................................................... 
আরবী মহরম মাসের দশ তারিখ (পবিত্র আশুরা দিবস)

এই দিনের গুরত্ব ও ইতিহাসঃ
১. সমগ্র জগৎ সৃষ্টির দিন। 
২. এদিন কেয়ামত অনুষ্টিত হবে।
৩. হযরত আইয়ুব (আঃ) কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
৪. হযরত ঈসা (আঃ) জন্মগ্রহন করেছিলেন। 
৫. হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করেছিলেন।
৬. হযতর সোলেমান (আঃ) তার হারানো রাজত পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন।
৭. হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
৮. হযরত ইয়াকুব (আঃ) তার হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আঃ) কে চল্লিশ বছর পর ফিরে পেয়েছিলেন ।
৯. ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া শিশু মুসাকে গ্রহন করেছিলেন।
১০.মহা প্লাবনের সময় হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা তার অনুসারীদের নি য়ে জুদি পাহাড়ের পাদদেশে এসে থেমেছিল।
১১. এই দিনে স্বেরসারী ইয়াজিদ বাহিনী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রাণাধিন দৌহিত্র অতুতভয় সৈনিক হযতর ইমাম হোসাই (রাঃ) কে একজন ব্যতিত সপরিবারে কারবালার মরু প্রান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আশুরার দিন নিজ পরিবার-পরিজনদের জন্য মুক্ত হাতে ব্যয় করবে, আল্লাহ তাকে সারা বছর সচ্ছলতা দান করবেন।

বোখারী ও মুসলিম

মুগিরা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন এক ছফরে আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমাকে বলিলেন, পানির পাত্র লও, আমি উহা লইলাম, রাসুলুল্লাহ (দঃ) নির্জন স্থানের দিকে যাইতে লাগিলেন এবং আমার অদৃশ্যে চলিয়া গেলেন। তারপর তিনি হাজত পুরা করিয়া ফিরিয়া আসিলেন এবং অজু করিতে লাগিলেন। আমি অজুর পানি ঢালিয়া দিতে ছিলাম। তাঁহার পরিধানে সিরিয়া দেশের তৈরী একটি জুব্বা ছিল। উহার আস্তিনের মুহরী সক ছিল, তাই উহা টানিয়া কনুই-এর উপর উঠানো সম্ভব হইল না, সে জন্য হস্তদয় ভিতর দিক হইতে টানিয়া উহা হইতে বাহির করিয়া লইলেন এবং পূর্ণ অজু করিয়া পা ধোয়ার পরিবর্তে চামড়ার মোজার উপর মছেহ করিলেন, তারপর নামায পড়িলেন। হযরত (দঃ) শাম দেশের তৈরী জুব্বা পরিহিত ছিলেন; সে কালে শাম দেশের অধিবাসী অমোসলেম ছিল।

সালাত সম্পর্কে দুটি হাদিস


১. আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , আমি আল্লাহর নবী সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম : আমল সমূহের ( কর্মসমূহের ) মধ্যে কোন আমলটি ( কাজটি ) আল্লাহর কাছে সবচে ’ প্রিয় ? তিনি বললেন : সময়মতো সালাত আদায় করা । ’ আমি বললাম তারপর কোন কাজটি ? তিনি বললেন : মা বাবার সাথে ভালো ব্যবহার করা । ’ আমি বললাম , তারপর কোন কাজটি ? তিনি বললেন : আল্লাহর দীন বাস্তবায়নের জন্যে প্রচেষ্টা চালানো। ” ( সূত্র : সহীহ বুখারি ও মুসলিম )
২. উবাদা বিন সামিত রা. থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ সা. বলেছেন : আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দিয়েছেন। যে কেউ সেগুলো আদায়ের উদ্দেশ্যে সুন্দরভাবে অযু করবে , নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেগুলো আদায় করবে , সেগুলোর রুকূ সজদা পূর্ণ ভাবে আদায় করবে , তার জন্যে আল্লাহর অংগীকার হলো , তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন । ” ( সূত্র : আহমদ , আবু দাউদ , নাসায়ী , মালিক )

কুরআনের বাণী


এখানে সালাত সম্পর্কে কুরআনের কয়েকটি বাণী উল্লেখ করা হলো ।
অর্থ : আর সালাত কায়েম করো আমাকে স্মরণ করার জন্য । ’ ( সূরা ২০ তোয়াহা : আয়াত - ১৪ )
অর্থ : সালাত কায়েম করো এবং যাকাত দিয়ে দাও। আর যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু করো (অর্থাৎ জামাতে সালাত আদায় করো)। ’ (সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত - ৪৩ )
অর্থ : যে কিতাব তোমার প্রতি অহী করা হয়েছে , তা থেকে তিলাওয়াত করো এবং সালাত কায়েম করো। ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত - ৪৫)
অর্থ : অবশ্যি সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে । ’ ( সূরা ২৯ আনকাবূত : আয়াত - ৪৫)
অর্থ : তোমার পরিবার পরিজনকে সালাতের আদেশ করো। এবং এর উপর অটল থাকো। ’ ( সূরা ২০তোয়াহা : ১৩২ )
অর্থ : (লোকমান তার ছেলেকে এই বলে উপদেশ দিয়েছিল) হে আমার পুত্র ! সালাত কায়েম করবে , ভালো কাজের নির্দেশ দেবে , অসৎ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে , আর ( এতে বিপদ আপদ আসলে ) ধৈর্য ধরবে। ’ ( সূরা ৩১ লোকমান : আয়াত - ১৭)
অর্থ : তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো সবর ( ধৈর্য ) ও সালাতের মাধ্যমে। ’ ( সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত - ৪৫)
অর্থ : একদল লোক আছে , তাদেরকে ব্যস্ততা এবং ব্যবসা - বানিজ্য আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত কায়েম করা থেকে বিরত রাখেনা। ’ (সূরা ২৪ নূর : আয়াত - ২৭)
অর্থ : ( একদল লোক আছে ) তাদেরকে যদি আমি দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি , তবে তারা সালাত কায়েম করবে .....................।’ (সূরা ২২ আল হজ্জ : আয়াত ৪১ )
অর্থ : ( ইবরাহিম দোয়া করেছিল : ) হে আমার প্রভু ! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানাও আর আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও । ( সূরা ১৪ ইবরাহিম : আয়াত - ৪০ )